পার্বত্য মধু পাহাড়ের বিভিন্ন প্রকারের ফলজ, বনজও ঔষধি গাছগাছাড়ির ফুল থেকে দেশি প্রজাতির (সেরেনা) মৌমাছি প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করে। আর আমরা সেই প্রকৃতির মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে থাকি, যা হলো সম্পূর্ণ মিশ্র ফুলের মধু। এটি স্বাদ ও ঘ্রাণে অত্যন্ত সুস্বাদু।
মধুর যত গুণাবলী : (১)মধুকে বলা হয়ে থাকে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ। মধুতে রয়েছে শুধুমাত্র আমিষ ও চর্বি ব্যাতীত মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য যেসকল উপাদান প্রয়োজন তার সবই। (২)এটি শক্তি প্রদায়ী একটি পানীয়। দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। (২) মধু কোষ্ঠকাঠিন্য ,পানিশূন্যতায় ও ডায়রিয়া হলে ভালো কাজ করে। (৩) রক্তশূন্যতায় মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে। এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ। (৪)ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরোনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো। (৫)মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে। (৬)যৌন দুর্বলতায়: পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন। (৭) হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশ্রিত মধু একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয়। (৮)মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষা,ক্ষয়রোধ,দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে। (৯)পাকস্থলীর সুস্থতায় হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুকজ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়। (১০) গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। (১১) মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়। (১২)মধুতে কোনো চর্বি না থাকায় এটি ওজন কমায়। (১৩) তারুণ্য বজায় রাখতে এটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও তারুণ্য বাড়ায়। (১৪)মধুতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে। (১৫)আধা গ্রাম গোলমরিচের গুড়োর সঙ্গে সমপরিমাণ মধু এবং আদা দিনে অন্তত তিনবার এই মিশিয়ে খেলে হাঁপানি রোধ করে। (১৬)উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খান। (১৭)রক্ত ও পেট পরিষ্কার করতে মধু অধিক কার্যকর। (১৮)হৃদ্রোগেএক চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদ্রোগের টনিক কাজ করে। (১৯)মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। মধুর সকল গুণাগুণ অটুট রাখতে এবং সকল রোগের শেফা পেতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা খাটি পাহাড়ি মিশ্র ফুলের মধু খান। আমাদের ফিউচার বাজারে যোগাযোগ করে পাবেন সম্পূর্ণ পাহাড়ি মিশ্র ফুলের মধু।